ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন, কি করা উচিত

ধৈর্য

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ধৈযের ফল সুমিষ্টি। কিন্তুনিজের মাঝে ধৈর্য ধরার ধারন ক্ষমতা না থাকলে কি আপনা আপনি আসবে। নিজেকে ধের্যশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অনুশীলন প্রযোজন। প্রয়োজন কিছু অভ্যাস ও মানসিকতার পরিবর্তন।

জীবনে সফল হতে হলে ধৈর্য ধারন ছাড়া তা অসম্ভব । কারন কম ধৈর্য  ধারনশীল ব‌্যক্তি অধৈর্যের কারনে অনেক সময় যে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় । যা ভবিষ্যতে তার জন্য ক্ষতিকর বয়ে আনে । অনেক ব্যর্থতায় নিরাশ হয়ে আমরা  ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। কারণ কথায় অবশেষে এটাই মানতে হবে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়।

এই পৃথিবীতে সবকিছুই অনিশ্চিত,  কয়েক মুহর্ত পর কি ঘটবে ঘটবে তার কোন নিশ্চিতা নেই।  তাই কোন কিছু নিশ্চিত হওয়ার ধারন ক্ষমতা আমাদের  নেই বললে চলে। সবার আগে এটি মেনে নিতে হবে।

এ বিষয় জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেধনে উল্লেখ করা হয়, জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধৈর্যের অনুশীলন করা যদিও একটি কঠিন কাজ তবে একটি উন্নত ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা এটিকে সহজ করে তোলে । এই পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আমরা ধাপে ধাপে ধৈর্য্যশীল হওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে ।

আমাদের জীবনের এমন জিনিসগুলিতে ফোকাস করুন যা আমরা পরিবর্তন করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, রাগ কম করুন এবং উত্তেজিত হলে চুপ থাকুন।

যেকোনো পরিস্থিতিতে ইতিবাচক মনোভাব রাখলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। ধৈর্য বাড়লে মানসিক শান্তিও বাড়ে।

আপনার অভ্যন্তরীণ শান্তিকে ব্যাহত করে বা পরিস্থিতিকে জটিল করে এমন জিনিসগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আপনার মানসিক শক্তি থাকতে হবে।

প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত রাখুন

আশাবাদ নিঃসন্দেহে একটি ভালো গুণ। তবে আপনার প্রত্যাশা সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটি কাজের জন্য যে প্রচেষ্টা করেছেন তার উপর ভিত্তি করে প্রত্যাশা করা উচিত। পরিস্থিতি, পরিস্থিতি, সময়ও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। অতএব, আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী সবকিছু ঘটবে এমন মনোভাব থাকা প্রায়শই আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অধৈর্য হয়ে যেতে পারে।

অন্যের উপর নির্ভরশীল নয়

একজনের অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার পর্যায়ে প্রবেশ করা উচিত নয়। যেহেতু এটি আত্মবিশ্বাসকে হ্রাস করে, এটি একজনকে বিরক্তিকর এবং খিটখিটে করে তোলে। জীবনে অনেক সমস্যা আছে।