কেউ মিথ্যা বললে যে ভাবে বুঝবেন

কেউ মিথ্যা বললে how to know if someone is lying

মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে জেনেও মানুষ কারনে অকারনে মিথ্যা কথা বলে, কেউ মিথ্যা বললে যে ভাবে বুঝবেন যে সে মিথ্যা বলছে, সচল আচল তা বুঝা যায় না । আর কিছু মানুষ আছে মিথ্যা সত্য সংমিশ্রনে এমনভাবে কথা বলে যা বুঝা একেইবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।


এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক ড. ক্যারোলিন লিফ বলেন, কেউ মিথ্যা বললে যে ভাবে বুঝবেন মিথ্যা বলছে তা বুঝতে তাদের শরীরিক বিশেষ কয়েটি ধরন থাকে, সে ধরনগুলো থেকে কেউ মিথ্যা বললে বুঝার উপায় হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে, যেমন মিথ্যায বলার সময় , মুখাভঙ্গি, অঙ্গভঙ্গি দেখা দেয়। মিথ্যা শনাক্ত করার জন্য শরীলের এই ভঙ্গিগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।


কেউ মিথ্যা বললে যে ভাবে বুঝবেন সে মিথ্যা বলছে তার কিছু শারীরিক ভঙ্গি


শারীরিক ভঙ্গি
লিফের মতে, মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে যেনেও যখন মানুষ মিথ্যা বলে তখন দেখা যাবে সে ঘামছেন, কাঁপছেন, তোতলাচ্ছেন, চোখ বন্ধ করছেন, আর তার কথা ও অঙ্গভঙ্গির কোন মিল থাকছে না এবং সেই সময় তাকে দেখতে অস্থির মনে হবে। এমন সময় দুটি বিষয় খিয়াল রাখতে হবে।


একটি ওয়েবসাইটে তার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, প্রথমত, তার শারীকির কিছু ইঙ্গিতগুলি মিথ্যা প্রমান দেবে, কিন্তু এগুলো ১০০% নিশ্চিত নয় ৷ কিছু মানুষ স্বভাবে চঞ্চল এবং এলোমেলো আচরণ করে। যাদের আচরণ সর্বদা অনিয়মিত, তাদের জন্য এই চিহ্নটি দেখে এবং তারা মিথ্যা বলছে অনুমান করা ভুল হবে।


কিন্তু যাকে চেনেন, তার শারীরিক ভঙ্গি এমনটা লক্ষনীয় হলে ধারনা করা যাবে যে সে মিথ্যাো বলছে।


দ্বিতীয়ত, মিথ্যা বলার সময় লোকেরা যে সমস্ত ধরণের ইঙ্গিত দেয় তার মধ্যে একটি জিনিস মিল রয়েছে। তা হল – কথা এড়িয়ে চলার প্রবণতা। চোখে চোখ রাখার এড়িয়ে চলা । তোতলানো হয় মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে এবং সত্যকে আটকে রাখার কারণে।


বাচনভঙ্গির ইঙ্গিত
ডা. লিফ জানান কোনো ঘটনা বর্ননা করার সময় খুব কম কথা বলা অথবা খুব বেশি কথা বলাটাও মিথ্যা বলার কারন হতে পারে। কোনো নিদিষ্ট কথায় বেশ জোর দেয়াও মিথ্যা্ বলার একটা ইঙ্গিত। মিথ্যা কথা বলার সময় গলার স্বর বদলে যেতে যাওয়াও একটি ইঙ্গিত । কেউ কেউ আবার কথা জড়িয়ে ফেলে। একটি ব্য়ি সবসময় লক্ষনীয় সেটা হল গল্পের ধারাবাহিকতা বঝায় রাখা। সমান গল্প আবার বলতে গিয়ে গল্পের মিল না থাকা।


অঙ্গভঙ্গি ইঙ্গিত
মিথ্যা বলা ব্যরক্তির মিথ্যার ইঙ্গিত অঙ্গভঙ্গিতে প্রায়ই চোখ পড়ে।
লিফ বলেন, সাভাবিক কথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই তার অঙ্গভঙ্গি বদলে যায়। এটি মিথ্যা বলার শুরু হিসাবে ধরা যেতে পারে।


হয়তো তারা টেনশন করবে, তাদের চোখ বন্ধ করে কতঅ বলবে এবং মুখ লুকিয়ে কথা বলবে। সংক্ষেপে, এই অঙ্গভঙ্গি তাদের কথা বলার স্বাভাবিক উপায় হবে না।


কিন্তু এমনকি এই ধরনের ইঙ্গিত প্রায়ই বিভ্রান্তিকর হয়. উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু লোকের মিথ্যা কথা বলার অঙ্গভঙ্গিতে পরিবর্তন দেখা যায় না। এছাড়াও, আলোচিত বিষয়ের কারণে ভঙ্গি পরিবর্তন হতে পারে।
সুতরাং শুধু অঙ্গভঙ্গির দেখে সে মিথ‌্যা বলছে ধারনা করা হলে ভুল হবে।


কেউ মিথ্যা বললে যে ভাবে বুঝবেন তা অনুসরণ করে মিথ্যা ধরে ফেললে কি করবেন

কেউ মিথ্যা বললে


মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে যেনেও কেউ যদি আপনাকে অবাক করার জন্য আপনাকে মিথ্যা বলে, তবে এটি আপনার চমককে ধরে রাখতে হবে। কিন্তু যদি কেউ আপনাকে আঘাত করার জন্য মিথ্যা বলে, এবং আপনি তা বুঝতে পারেন, আপনি নিজেকে অনেক চাপের মধ্যে ফেলছেন।


প্রতারণার করার জন্যি মিথ্যার প্রভাব আরো ভয়ানক হতে পারে। সুতরাং প্রথমেই বুঝবেন কি উদ্দেশ্যে‌্ যে সে মিথ্যা বলছে, কেনো বলছে।


যদি খুব ক্ষতিকর বকারন হয় তাহলে তার মিথ্যা নিয়ে মুখোমুখি হতে পারেন পারেন। আবার ঝামেলা এড়াতে জন্য্ তার মিথ্যা আপনি বিশ্বাস করেছেন এমন ভাব করে করে বিষয়টি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এবং নিজেকে সাবধান করে ফেলবেন।